বন্যার খবর
‘ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুললেও বন্যার শঙ্কা নেই’
ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি গেটের সবগুলো খোলা থাকলেও এই মুহূর্তে বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ফারাক্কার ভারতের অংশে এই মুহূর্তে বন্যা পরিস্থিতি চলছে। কিন্তু এ মুহূর্তে বাংলাদেশে বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।
বন্যাদুর্গত এলাকায় খাদ্য-পানিসংকটে জনদুর্ভোগ
বন্যাকবলিত বেশির ভাগ এলাকায় অনেকে পানির মধ্যে বসবাস করছে। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্গতদের অভিযোগ, প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে। এমনকি অনেক এলাকায় চার-পাঁচ দিনেও কোনো ত্রাণ পৌঁছেনি। এত দিনেও সরকারি-বেসরকারি সাহায্য নিয়ে যায়নি কেউ। অনাহারে দিন কাটছে অ
৩ জেলায় বন্যার এই আগ্রাসী রূপ কেন?
ফেনী জেলার মানুষের কাছে এবারের বন্যা একদিকে যেমন আকস্মিক অন্যদিকে অকল্পনীয়। শুধু ফেনী নয়, এর আশপাশের জেলাগুলোতে বন্যা আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে। বহু জায়গায় বন্যার পানি ঘরের চাল ছুঁয়েছে কিংবা উপচে গেছে।
ত্রিপুরায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
ভারতের ত্রিপুরায় আবার ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দেশটির জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) শুক্রবার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলেছে ত্রিপুরার দক্ষিণ, উত্তর, উনাকোতি এবং ধালাই বিভাগে (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। অপরদিকে ত্রিপুরার সববিভাগে বজ্রসহ ঝড় হতে পারে।
পানির নিচে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় কবলিত হয়েছে দেশের ১১টি জেলা। এই বন্যার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে মহাসড়কের ঢাকামুখি লেনে ৪৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
বন্যায় প্লাবিত ১২ জেলা, মানবিকসংকটে ৪৫ লাখ মানুষ
এখন পর্যন্ত বন্যায় প্লাবিত হয়েছে দেশের ১২ জেলা। এতে ৪৫ লাখ মানুষ মানবিক সংকটে পড়েছেন। বন্যার পরিধি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি বেশি অবনতি হয়েছে। সরকারি হিসাবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত মারা গেছেন ১৫ জন।